শেখ সাইফুল ইসলাম কবির : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা অর্চনা ঘিরে সুন্দরবনের দুবলার চরে প্রায় প্রতি বছরই রাস মেলা হয়। এ মেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সারাদেশ থেকেই নানা ধর্মের হাজারো মানুষ ভিড় করেন। এছাড়া ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকেও অনেকে রাস মেলায় অংশ নেন।
গেল বছর ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে কারণে রাস পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে কোনো মেলা হয়নি। আর এবার হচ্ছে না করোনার কারণে।
তবে বন বিভাগের নির্ধারিত বিভিন্ন শর্ত মেনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে অংশ নিতে পারবেন।
২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস পূজা ও ৩০ নভেম্বর সকালে দূবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে এবারের রাস উৎসব শেষ হবে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে রাস উৎসব ও পূজা উদযাপন আয়োজনের জন্য সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সুন্দরবন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন, সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, দুবলা ফিশার ম্যান গ্রুপ ও রাস মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি এস এম কামাল হোসেন, সহ-সভাপতি বাবুল সরদার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু শন্তু, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এবারের রাস পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বনরক্ষীদের পাশাপাশি র্যাব-৬ খুলনা, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োজিত থাকবেন।
রাস উৎসবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া কেউ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না।
এবারের রাস পূজা উপলক্ষে পরিবেশ দূষণ রোধেও ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পূজায় আগত ভক্ত ও সংশ্লিষ্ট সবার খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্যাকেটসহ বিভিন্ন দ্রব্য সাগর, নদী বা চরে ফেলা যাবে না, ট্রলারে রাখা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।